টীচার হয়ে আমারই
তাকাতে ভয়
লাগে। নীরা
খুবই সাংঘাতিক
মেয়ে। যদিও
আমার থেকে
বয়সে তিন
চার বছরের
ছোট। ক্লাসের
ছেলেরাও দেখি
ওর সাথে
তেমন একটা
মেশে না
মেয়েরাও না।
সামনের বেঞ্চে বসা মেয়ে গুলো মারাত্নক ব্রিলিয়ান্ট হয়। তার উপর সুন্দরী হলে তো পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর।
ক্লাসে পড়ানোর সুবাদে নীরাকে প্রায়ই প্রশ্ন করি এটা ওটা। কি দ্রুতগতিতে উত্তর দিয়ে দেয় ভাবাই যায় না। মাঝে মধ্যে দুয়েকটা জটিল প্রশ্ন করি। এতে করে নীরা প্রশ্নের উত্তর না পেরে ঠোঁট কামড়ে ধরে। ওটা দেখাই আমার উদ্দেশ্য।
এরপর শুরু হয় আমার পন্ডিতগিরি।
দেখো নীরা এটা হচ্ছে এরকম। এটা ফ্রীডেল ক্র্যাফট এসাইলেশন বিক্রিয়া আর এটা হচ্ছে ফ্রীডেল ক্র্যাফট এল্কাইলেশন বিক্রিয়া। বুঝেছো?
- জী ভাইয়া বুচ্ছি।
- গুড
ক্লাসের আর কেউ বুঝলো কি বুঝলো না সে দিকে খেয়াল থাকে না প্রায়ই।
নীরা ক্লাসে না আসলে সেদিন ক্লাস করাই না বেশিক্ষণ। চলে আসি। ফাঁকা ফাঁকা লাগে। কি হবে এতক্ষণ ক্লাস করিয়ে।
পরের দিন নীরা ক্লাসে আসলে মহাউদ্যমে ক্লাস করাই, যেন আজই সব পড়িয়ে ফেলব।
বাসায় এসে শুধু ভাবি কাল আবার ক্লাসে যাবো, নীরাকে বলব - এটা বুঝেছো নীরা।
উফ কি বেক্কল আমি!!! ছাত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি। অথচ ছাত্রীর কোন ভাবোদয় নেই। কেউ জানলে তো মান সম্মানের দফা রফা হয়ে যাবে। কিংবা জটিল অবস্থা রে বাবা!
সাঙ্ঘাতিক মেয়ে নীরা একদিন আমাকে ফোন দিল।
- ভাইয়া আমি নীরা।
- হ্যাঁ ব ব বলো।
....দিড়িম দাড়িম বাড়ি খাচ্ছে ভিতরটা। স্বপ্ন নয় তো?
- একটা জিনিস বুঝতে পারিনি। তাই ফোন দিলাম।
- আমার নাম্বার কোথায় পেলে?
- আপনার মোবাইল থেকে আমার মোবাইলে কল দিসিলাম কাল। আপনি ক্লাসের বাইরে ছিলেন দু মিনিট।
...বলে কি মেয়েটা? মাথা তো একদমই ঘুরিয়ে দিচ্ছে।
- ক ক কি বুঝনি?
- মুখে বলা যাবে না। অনেক টাইমের ব্যাপার।
- তাহলে?
- আপনার ডায়রীর মাঝ বরাবর একটা কাগজ আছে দেখুন।
- কোন ডায়রী?
- ক্লাসে যেটা নিয়ে আসেন।
খানিকক্ষণ সব নীরব। তারপর নীরাই বলল
- আচ্ছা আমি রাখি। কাল ওটা আমায় ক্লিয়ার করে দিবেন একটু। সমস্যায় আছি।
- আচ্ছা বাই।
ডায়রী টা কাঁপা হাতেই ধরলাম। মেয়েটা যেভাবে কাটা কাটা কথা বলল তাতে ভয় আরো বেড়ে গেছে। মনে হচ্ছিল বসের সাথে কথা বলছি।
কি না কি লিখেছে আল্লাই জানে। সত্যিই ডায়রীতে একটা কাগজ পেলাম। খুলতে সাহস হচ্ছে না। মনে হয় সব বুঝে ফেলেছে। তাই সবার সামনে নাস্তানাবুদ করার জন্য খুব জটিল কোন প্রব্লেম সল্ভ করতে দিয়েছে। কী বিপদ!
যা হোক হবে, আল্লার নাম নিয়ে ডায়রীর ভেতর থেকে সাদা রঙ্গের একটা কাগজ বের করে খুলে ফেললাম।
নীরা সত্যিই আমাকে খুব জটিল একটা প্রব্লেম সল্ভ করতে দিয়েছিল ঐ দিন। যে প্রব্লেম ক্লাসের সবার সামনে সল্ভ করতে আমি কোন দিনই পারবো না।
পরের দিন ভয়ে আমি ক্লাসে যাইনি। আর কোন দিনই ঐ ক্লাসে যাইনি। কারণ এরপর থেকে নীরাই আমার ক্লাস নিতে শুরু করেছে।
সামনের বেঞ্চে বসা মেয়েটা আসলেই সাংঘাতিক।
সামনের বেঞ্চে বসা মেয়ে গুলো মারাত্নক ব্রিলিয়ান্ট হয়। তার উপর সুন্দরী হলে তো পরিস্থিতি আরো ভয়ংকর।
ক্লাসে পড়ানোর সুবাদে নীরাকে প্রায়ই প্রশ্ন করি এটা ওটা। কি দ্রুতগতিতে উত্তর দিয়ে দেয় ভাবাই যায় না। মাঝে মধ্যে দুয়েকটা জটিল প্রশ্ন করি। এতে করে নীরা প্রশ্নের উত্তর না পেরে ঠোঁট কামড়ে ধরে। ওটা দেখাই আমার উদ্দেশ্য।
এরপর শুরু হয় আমার পন্ডিতগিরি।
দেখো নীরা এটা হচ্ছে এরকম। এটা ফ্রীডেল ক্র্যাফট এসাইলেশন বিক্রিয়া আর এটা হচ্ছে ফ্রীডেল ক্র্যাফট এল্কাইলেশন বিক্রিয়া। বুঝেছো?
- জী ভাইয়া বুচ্ছি।
- গুড
ক্লাসের আর কেউ বুঝলো কি বুঝলো না সে দিকে খেয়াল থাকে না প্রায়ই।
নীরা ক্লাসে না আসলে সেদিন ক্লাস করাই না বেশিক্ষণ। চলে আসি। ফাঁকা ফাঁকা লাগে। কি হবে এতক্ষণ ক্লাস করিয়ে।
পরের দিন নীরা ক্লাসে আসলে মহাউদ্যমে ক্লাস করাই, যেন আজই সব পড়িয়ে ফেলব।
বাসায় এসে শুধু ভাবি কাল আবার ক্লাসে যাবো, নীরাকে বলব - এটা বুঝেছো নীরা।
উফ কি বেক্কল আমি!!! ছাত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছি। অথচ ছাত্রীর কোন ভাবোদয় নেই। কেউ জানলে তো মান সম্মানের দফা রফা হয়ে যাবে। কিংবা জটিল অবস্থা রে বাবা!
সাঙ্ঘাতিক মেয়ে নীরা একদিন আমাকে ফোন দিল।
- ভাইয়া আমি নীরা।
- হ্যাঁ ব ব বলো।
....দিড়িম দাড়িম বাড়ি খাচ্ছে ভিতরটা। স্বপ্ন নয় তো?
- একটা জিনিস বুঝতে পারিনি। তাই ফোন দিলাম।
- আমার নাম্বার কোথায় পেলে?
- আপনার মোবাইল থেকে আমার মোবাইলে কল দিসিলাম কাল। আপনি ক্লাসের বাইরে ছিলেন দু মিনিট।
...বলে কি মেয়েটা? মাথা তো একদমই ঘুরিয়ে দিচ্ছে।
- ক ক কি বুঝনি?
- মুখে বলা যাবে না। অনেক টাইমের ব্যাপার।
- তাহলে?
- আপনার ডায়রীর মাঝ বরাবর একটা কাগজ আছে দেখুন।
- কোন ডায়রী?
- ক্লাসে যেটা নিয়ে আসেন।
খানিকক্ষণ সব নীরব। তারপর নীরাই বলল
- আচ্ছা আমি রাখি। কাল ওটা আমায় ক্লিয়ার করে দিবেন একটু। সমস্যায় আছি।
- আচ্ছা বাই।
ডায়রী টা কাঁপা হাতেই ধরলাম। মেয়েটা যেভাবে কাটা কাটা কথা বলল তাতে ভয় আরো বেড়ে গেছে। মনে হচ্ছিল বসের সাথে কথা বলছি।
কি না কি লিখেছে আল্লাই জানে। সত্যিই ডায়রীতে একটা কাগজ পেলাম। খুলতে সাহস হচ্ছে না। মনে হয় সব বুঝে ফেলেছে। তাই সবার সামনে নাস্তানাবুদ করার জন্য খুব জটিল কোন প্রব্লেম সল্ভ করতে দিয়েছে। কী বিপদ!
যা হোক হবে, আল্লার নাম নিয়ে ডায়রীর ভেতর থেকে সাদা রঙ্গের একটা কাগজ বের করে খুলে ফেললাম।
নীরা সত্যিই আমাকে খুব জটিল একটা প্রব্লেম সল্ভ করতে দিয়েছিল ঐ দিন। যে প্রব্লেম ক্লাসের সবার সামনে সল্ভ করতে আমি কোন দিনই পারবো না।
পরের দিন ভয়ে আমি ক্লাসে যাইনি। আর কোন দিনই ঐ ক্লাসে যাইনি। কারণ এরপর থেকে নীরাই আমার ক্লাস নিতে শুরু করেছে।
সামনের বেঞ্চে বসা মেয়েটা আসলেই সাংঘাতিক।